দ্বিতীয় পর্ব, মিথ্যাবাক্য বর্গ , মিথ্যাবাক্য শিক্ষাপদ, পাচিত্তিয়া, (বিনয়পিটকে)

 


বিনয়পিটকে পাচিত্তিয়া

অনুবাদক: করুণাবংশ ভিক্ষু

দ্বিতীয় পর্ব

১. মিথ্যাবাক্য বর্গ

১. মিথ্যাবাক্য শিক্ষাপদ 

৬. তিন প্রকারে অদৃষ্টকে দৃষ্ট ও শ্রুত বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়; যথা : (১) মিথ্যা বলার পূর্বে সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলতে যাচ্ছি, (২) মিথ্যা বলার সময় সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলছি, (৩) মিথ্যা বলার পর সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলেছি। তিন প্রকারে অদৃষ্টকে ঘ্রাণিত, আস্বাদিত ও স্পৃষ্ট বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়; যথা : (১) মিথ্যা বলার পূর্বে সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলতে যাচ্ছি, (২) মিথ্যা বলার সময় সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলছি, (৩) মিথ্যা বলার পর সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলেছি। তিন প্রকারে অদৃষ্টকে দৃষ্ট ও জ্ঞাত বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়; যথা : (১) মিথ্যা বলার পূর্বে সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলতে যাচ্ছি, (২) মিথ্যা বলার সময় সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলছি, (৩) মিথ্যা বলার পর সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলেছি। তিন প্রকারে অদৃষ্টকে দৃষ্ট, শ্রুত, ঘ্রাণিত, আস্বাদিত ও স্পৃষ্ট বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়; যথা : (১) মিথ্যা বলার পূর্বে সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলতে যাচ্ছি, (২) মিথ্যা বলার সময় সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলছি, (৩) মিথ্যা বলার পর সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলেছি। তিন প্রকারে অদৃষ্টকে দৃষ্ট, শ্রুত ও জ্ঞাত বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়; যথা : (১) মিথ্যা বলার পূর্বে সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলতে যাচ্ছি, (২) মিথ্যা বলার সময় সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলছি, (৩) মিথ্যা বলার পর সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলেছি। তিন প্রকারে অদৃষ্টকে দৃষ্ট, শ্রুত, ঘ্রাণিত, আস্বাদিত, স্পৃষ্ট ও জ্ঞাত বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়; যথা : (১) মিথ্যা বলার পূর্বে সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলতে যাচ্ছি, (২) মিথ্যা বলার সময় সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলছি, (৩) মিথ্যা বলার পর সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলেছি 

তিন প্রকারে অশ্রুতকে শ্রুত, ঘ্রাণিত, আস্বাদিত ও স্পৃষ্ট বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। তিন প্রকারে অশ্রুতকে শ্রুত ও দৃষ্ট বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। তিন প্রকারে অশ্রুতকে শ্রুত, ঘ্রাণিত, আস্বাদিত, স্পৃষ্ট ও জ্ঞাত বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। তিন প্রকারে অশ্রুতকে শ্রুত, ঘ্রাণিত, আস্বাদিত, স্পৃষ্ট ও জ্ঞাত বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়; যথা : (১) মিথ্যা বলার পূর্বে সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলতে যাচ্ছি, (২) মিথ্যা বলার সময় সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলছি, (৩) মিথ্যা বলার পর সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলেছি 


তিন প্রকারে অঘ্রাণিত, অনাস্বাদিত ও অস্পৃষ্টকে ঘ্রাণিত, আস্বাদিত, স্পৃষ্ট ও জ্ঞাত বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। তিন প্রকারে অঘ্রাণিত, অনাস্বাদিত ও অস্পৃষ্টকে ঘ্রাণিত, আস্বাদিত, স্পৃষ্ট ও দৃষ্ট বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। তিন প্রকারে অঘ্রাণিত, অনাস্বাদিত ও অস্পৃষ্টকে ঘ্রাণিত, আস্বাদিত, স্পৃষ্ট ও শ্রুত বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। তিন প্রকারে অঘ্রাণিত, অনাস্বাদিত ও অস্পৃষ্টকে ঘ্রাণিত, আস্বাদিত, স্পৃষ্ট, জ্ঞাত ও দৃষ্ট বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। তিন প্রকারে অঘ্রাণিত, অনাস্বাদিত ও অস্পৃষ্টকে ঘ্রাণিত, আস্বাদিত, স্পৃষ্ট, জ্ঞাত ও শ্রুত বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। তিন প্রকারে অঘ্রাণিত, অনাস্বাদিত ও অস্পৃষ্টকে ঘ্রাণিত, আস্বাদিত, স্পৃষ্ট, জ্ঞাত, দৃষ্ট ও শ্রুত বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়; যথা : (১) মিথ্যা বলার পূর্বে সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলতে যাচ্ছি, (২) মিথ্যা বলার সময় সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলছি, (৩) মিথ্যা বলার পর সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলেছি 


তিন প্রকারে অজ্ঞাতকে জ্ঞাত ও দৃষ্ট বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। তিন প্রকারে অজ্ঞাতকে জ্ঞাত ও শ্রুত বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। তিন প্রকারে অজ্ঞাতকে জ্ঞাত, ঘ্রাণিত, আস্বাদিত ও স্পৃষ্ট বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। তিন প্রকারে অজ্ঞাতকে জ্ঞাত, দৃষ্ট ও শ্রুত বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। তিন প্রকারে অজ্ঞাতকে জ্ঞাত, দৃষ্ট, ঘ্রাণিত, আস্বাদিত ও স্পৃষ্ট বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। তিন প্রকারে অজ্ঞাতকে জ্ঞাত, দৃষ্ট শ্রুত, ঘ্রাণিত, আস্বাদিত ও স্পৃষ্ট বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়; যথা : (১) মিথ্যা বলার পূর্বে সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলতে যাচ্ছি, (২) মিথ্যা বলার সময় সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলছি, (৩) মিথ্যা বলার পর সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলেছি 


৭. তিন প্রকারে দৃষ্টকে অদৃষ্ট বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। শ্রুতকে অশ্রুত বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। ঘ্রাণিতকে অঘ্রাণিত, আস্বাদিতকে অনাস্বাদিত, স্পৃষ্টকে অস্পৃষ্ট বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। জ্ঞাতকে অজ্ঞাত বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়; যথা : (১) মিথ্যা বলার পূর্বে সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলতে যাচ্ছি, (২) মিথ্যা বলার সময় সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলছি, (৩) মিথ্যা বলার পর সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলেছি


৮. তিন প্রকারে দৃষ্টকে শ্রুত বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। তিন প্রকারে দৃষ্টকে ঘ্রাণিত, আস্বাদিত ও স্পৃষ্ট বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। তিন প্রকারে দৃষ্টকে জ্ঞাত বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। তিন প্রকারে দৃষ্টকে শ্রুত, ঘ্রাণিত, আস্বাদিত ও স্পৃষ্ট বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। তিন প্রকারে দৃষ্টকে শ্রুত ও জ্ঞাত বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। তিন প্রকারে দৃষ্টকে শ্রুত, ঘ্রাণিত, আস্বাদিত, স্পৃষ্ট ও জ্ঞাত বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়; যথা : (১) মিথ্যা বলার পূর্বে সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলতে যাচ্ছি, (২) মিথ্যা বলার সময় সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলছি, (৩) মিথ্যা বলার পর সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলেছি 


তিন প্রকারে শ্রুতকে ঘ্রাণিত, আস্বাদিত ও স্পৃষ্ট বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। তিন প্রকারে শ্রুতকে জ্ঞাত বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। তিন প্রকারে শ্রুতকে দৃষ্ট বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। তিন প্রকারে শ্রুতকে ঘ্রাণিত, আস্বাদিত, স্পৃষ্ট ও জ্ঞাত বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। তিন প্রকারে শ্রুতকে ঘ্রাণিত, আস্বাদিত, স্পৃষ্ট, জ্ঞাত ও দৃষ্ট বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়; যথা : (১) মিথ্যা বলার পূর্বে সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলতে যাচ্ছি, (২) মিথ্যা বলার সময় সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলছি, (৩) মিথ্যা বলার পর সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলেছি 


তিন প্রকারে ঘ্রাণিত, আস্বাদিত ও স্পৃষ্টকে জ্ঞাত বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। তিন প্রকারে ঘ্রাণিত, আস্বাদিত ও স্পৃষ্টকে দৃষ্ট বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। তিন প্রকারে ঘ্রাণিত, আস্বাদিত ও স্পৃষ্টকে শ্রুত বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। তিন প্রকারে ঘ্রাণিত, আস্বাদিত ও স্পৃষ্টকে জ্ঞাত ও দৃষ্ট বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। তিন প্রকারে ঘ্রাণিত, আস্বাদিত ও স্পৃষ্টকে জ্ঞাত ও শ্রুত বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। তিন প্রকারে ঘ্রাণিত, আস্বাদিত ও স্পৃষ্টকে জ্ঞাত, দৃষ্ট ও শ্রুত বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে পাচিত্তিয় অপরাধ হয়; যথা : (১) মিথ্যা বলার পূর্বে সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলতে যাচ্ছি, (২) মিথ্যা বলার সময় সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলছি, (৩) মিথ্যা বলার পর সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলেছি


তিন প্রকারে জ্ঞাতকে দৃষ্ট বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। তিন প্রকারে জ্ঞাতকে শ্রুত বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। তিন প্রকারে জ্ঞাতকে ঘ্রাণিত, আস্বাদিত ও স্পৃষ্ট বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। তিন প্রকারে জ্ঞাতকে দৃষ্ট, ঘ্রাণিত, আস্বাদিত ও স্পৃষ্ট বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। তিন প্রকারে জ্ঞাতকে দৃষ্ট, শ্রুত, ঘ্রাণিত, আস্বাদিত ও স্পৃষ্ট বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়; যথা : (১) মিথ্যা বলার পূর্বে সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলতে যাচ্ছি, (২) মিথ্যা বলার সময় সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলছি, (৩) মিথ্যা বলার পর সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলেছি


৯. দৃষ্ট না হওয়া, দৃষ্ট বিষয় স্মরণ না হওয়া এবং দৃষ্ট বিষয় বিস্মৃত হওয়া এই তিন প্রকারে দৃষ্টে সন্দেহপরায়ণ হয়ে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। শ্রুত না হওয়া, শ্রুত বিষয় স্মরণ না হওয়া এবং শ্রুত বিষয় বিস্মৃত হওয়া এই তিন প্রকারে শ্রুতে সন্দেহপরায়ণ হয়ে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। ঘ্রাণিত, আস্বাদিত ও স্পৃষ্ট না হওয়া; ঘ্রাণিত, আস্বাদিত ও স্পৃষ্ট বিষয় স্মরণ না হওয়া এবং ঘ্রাণিত, আস্বাদিত ও স্পৃষ্ট বিষয় বিস্মৃত হওয়া এই তিন প্রকারে ঘ্রাণে, আস্বাদনে ও স্পৃষ্টে সন্দেহপরায়ণ হয়ে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। জ্ঞাত না হওয়া, জ্ঞাত বিষয় স্মরণ না হওয়া এবং জ্ঞাত বিষয় বিস্মৃত হওয়া এই তিন প্রকারে জ্ঞাতে সন্দেহপরায়ণ হয়ে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। জ্ঞাত না হওয়া, জ্ঞাত বিষয় স্মরণ না হওয়া এবং জ্ঞাত বিষয় বিস্মৃত হওয়া এই তিন প্রকারে জ্ঞাতে সন্দেহপ্রবণ হয়ে আমার দ্বারা জ্ঞাত ও দৃষ্ট বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। জ্ঞাত না হওয়া, জ্ঞাত বিষয় স্মরণ না হওয়া এবং জ্ঞাত বিষয় বিস্মৃত হওয়া এই তিন প্রকারে জ্ঞাতে সন্দেহপ্রবণ হয়ে আমার দ্বারা জ্ঞাত ও শ্রুত, বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। জ্ঞাত না হওয়া, জ্ঞাত বিষয় স্মরণ না হওয়া এবং জ্ঞাত বিষয় বিস্মৃত হওয়া এই তিন প্রকারে জ্ঞাতে সন্দেহপ্রবণ হয়ে আমার দ্বারা ঘ্রাণিত, আস্বাদিত ও স্পৃষ্ট বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। জ্ঞাত না হওয়া, জ্ঞাত বিষয় স্মরণ না হওয়া এবং জ্ঞাত বিষয় বিস্মৃত হওয়া এই তিন প্রকারে জ্ঞাতে সন্দেহপ্রবণ হয়ে আমার দ্বারা জ্ঞাত, দৃষ্ট ও শ্রুত বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। জ্ঞাত না হওয়া, জ্ঞাত বিষয় স্মরণ না হওয়া এবং জ্ঞাত বিষয় বিস্মৃত হওয়া এই তিন প্রকারে জ্ঞাতে সন্দেহপ্রবণ হয়ে আমার দ্বারা জ্ঞাত, দৃষ্ট, ঘ্রাণিত, আস্বাদিত ও স্পৃষ্ট বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়। জ্ঞাত না হওয়া, জ্ঞাত বিষয় স্মরণ না হওয়া এবং জ্ঞাত বিষয় বিস্মৃত হওয়া এই তিন প্রকারে জ্ঞাতে সন্দেহপ্রবণ হয়ে আমার দ্বারা জ্ঞাত, দৃষ্ট, শ্রুত, ঘ্রাণিত, আস্বাদিত ও স্পৃষ্ট বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়।


১০. চার প্রকারে... পাঁচ প্রকারে... ছয় প্রকারে... সাত প্রকারে জ্ঞাত বিষয় বিস্মৃত হয়ে আমার দ্বারা জ্ঞাত, দৃষ্ট, শ্রুত, ঘ্রাণিত, আস্বাদিত ও স্পৃষ্ট বলে সজ্ঞানে মিথ্যা ভাষণ করলে, পাচিত্তিয় অপরাধ হয়; যথা : (১) মিথ্যা বলার পূর্বে সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলতে যাচ্ছি, (২) মিথ্যা বলার সময় সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলছি, (৩) মিথ্যা বলার পর সে জানে যে, আমি মিথ্যা বলেছি, (৪) অমূলক বিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে, (৫) অমূলক ধারণার বশবর্তী হয়ে, (৬) মিথ্যা অভিলাষে বশবর্তী হয়ে, (৭) অসৎ উদ্দেশের বশবর্তী হয়ে।


১১. অনাপত্তি : সহসা বলার সময় মিথ্যা বললে ও একটি বলতে গিয়ে অন্যটি বললে, কোনো অপরাধ হয় না এবং উন্মত্তের ও আদিকর্মিকের (প্রথম লঙ্ঘনকারীর) ক্ষেত্রেও কোনো অপরাধ হয় না। 


মিথ্যাবাক্য প্রথম শিক্ষাপদ সমাপ্ত

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন