বন ভান্তের আবির্ভাব (বন ভান্তের জীবনী)

 

বন ভান্তের জীবনী

লেখক: শ্রীমৎ ইন্দ্রগুপ্ত ভিক্ষু

আবির্ভাব

ক্ষণজন্মা পুরুষোত্তম মহাপুরুষ গণের জন্ম জগতে বড়োই দুর্লভ।  সকল স্থানে, সকল সময়ে তারা জন্ম গ্রহণ করেন না।  যদি কোনো সময়, কোনো শুভক্ষণে এহেন মহাপুরুষের জন্ম হয়, তখন সেই দিনটি হয়ে ওঠে তাৎপর্যপূর্ণ উজ্জ্বলতায় চির ভাস্বর স্মরণীয় সেই দিনটি ইটিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে খোদিত হয়ে থাকে যুগ যুগান্তর ধরে।  আর যেই জাতিতে কুলে জন্মপরিগ্রহ করেন সেই জাতি, কুল হয় ধন্য; হয় উন্নত-সৌভাগো সমুন্নত।  মহান পুণ্যশ্লোকা মহাপুরুষগণ অপরিসীম গুণরাশিতে সমলঙ্কৃত হন।  বিভিন্ন গুণের সমাবেশে তাঁদের জীবন হয়ে ওঠে স্বমহিমায় উদ্ভাসিত, জ্যোতির্ময় অজ্ঞানতার তমসিকতায় মানুষ যখন দিশেহারা, তখনই মানব সমাজকে সে অবস্থা থেকে মুক্তিমন্ত্রে উজ্জীবিত করতে মুক্তির দূত হিসেবে মহাপুরুষগণ পৃতিবীর বুকে আবির্ভার হন।  তাঁদের এই আবির্ভাবে নেই কোনো দীনতা, কার্পণ্যতা, সংকীর্ণতা বরং আচ্ছে মহানুভবতা, পরকল্যাণ কম্যতা, জ্ঞানের গভীরতা ও দৃষ্টির প্রসারতা।  তাই তাঁরা সর্বকালিক, সর্বজনীন জীব-জগতের হিত-সুখার্থে স্বীয় জ্ঞানগরিমা দ্বারা মোহান্ধ জগদ্বাসীকে সত্যপথের সন্ধান দেওয়াই তাঁদের জীবনের প্রধান ব্রত। যুগের অনিবার্য দাবিতেই মহাপুরুষের শুভ আবির্ভাব।  ইতিহাসের ঠিক তেমনি একটি তাৎপর্যময় মুহূর্তে বিংশ শতাদ্বীর পদপ্রান্তে পার্বত্যাঞ্চলের বৌদ্ধ জনগণ যখন ধর্মীয় তথা সর্বক্ষেত্রে দিশাহারা, তখনিই বন ভান্তের আবির্ভাব।

আবির্ভাব সমাপ্ত

 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন